, , , ,

রোমাঞ্চকর ড্যান ব্রাউনের রোমাঞ্চকর দুনিয়ায়

dan brown

১৯৯৪ সালের কোন এক পড়ন্ত বিকেল। তাহিতির সাগরপাড়ে বসে আছেন এক ভদ্রলোক, হাতে বিখ্যাত লেখক সিডনি শেল্ডনের বই। গল্পে বুঁদ হয়ে আছেন তিনি। ঘড়ির কাঁটার দিকে কোন  খেয়াল নেই। রবার্ট বেলামির দুর্ধর্ষ মিশনে ডুবে গিয়েছেন। এলিয়েনদের পৃথিবীতে অবতরণ, ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শী, সবার অজান্তেই তাদের অপঘাতে মৃত্যু এবং সবশেষে সকল সিক্রেট জেনে যাওয়া রবার্ট বেলামিকেই হত্যার চেষ্টা! বইয়ের পরতে পরতে যেন উত্তেজনা। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যাচ্ছেন ভদ্রলোক। অন্তিম পর্ব সমাপ্ত করে যখন তিনি উঠলেন ততক্ষণে পার হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি ঘন্টা। কিন্তু সময়ের হিসাব তখন তাঁর মাথায় নেই। তাঁর মস্তিষ্কে খেলা করছে আরেকটি চিন্তা। এরকম একটি লেখা আমি লিখছি না কেন! আমিও তো লিখতে পারি। সেই একটি ভাবনাই যেন বদলে দিল তাঁকে৷ কয়েক বছরের সাধনায় লিখে ফেললেন নিজের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটি পাঠক মহলে তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও যে কয়জন পাঠককে আকৃষ্ট করেছে তাই ছিল নবাগত লেখকের প্রেরণার জন্য যথেষ্ট। সেই প্রেরণা থেকেই ৩ বছরের ব্যবধানে লিখে ফেললেন আরো ২ টি উপন্যাস। কিন্তু তখন পর্যন্তও তাঁর লেখাগুলো পাঠক সমাজে সেভাবে সাড়া জাগাতে পারে নি। তাঁর বইগুলো অন্যান্য সাধারণ বইয়ের কাতারেই ছিল। প্রতিটি বইয়ের ১০০০০ কপিও বিক্রি হয়নি। কিন্তু এরপরই হলো বিস্ফোরণ! লেখক তাঁর ৪র্থ বই দিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিলেন। বইটি হয়ে যায় বেস্টসেলার। নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার লিস্টে চলে আসে বইটির নাম। এমনকি বইটিতে থাকা কিছু কথার জবাবে নামকরা বাইবেল পণ্ডিত বার্ট ডি. আরমেন একটা অ্যাকাডেমিক বই-ই লিখে ফেলেছিলেন – “Truth and Fiction in The Da Vinci Code”  নামে যা ছেপেছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস!
তা কে এই ভদ্রলোক, যার লেখা নিয়ে এত তোলপাড়? বর্তমানে ৫৬ বছর বয়সী এই লেখকের নাম ড্যানিয়েল জেরহার্ড ব্রাউন।

ড্যানিয়েল জেরহার্ড ব্রাউন, যিনি ড্যান ব্রাউন নামেই অধিক পরিচিত; ছবি কৃতজ্ঞতাঃ The Guardian

প্রাচীনকালের ক্রিপ্টোগ্রাফী, সিম্বল, কোড ব্রেকিং, গোপন সংঘ, ষড়তন্ত্র তত্ত্ব ইত্যাদি যার নেশা। তাঁর লেখার মায়ায় ডুবে যেতে আপনি বাধ্য।

ব্রাউন পরিবার

১৯৬৪ সালের ২২শে জুন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রাউন পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় একটি শিশু। বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। আদরটা যেন তাই একটু বেশিই। বাবা-মা তাদের প্রিয় এই সন্তানের নাম রাখলেন ড্যানিয়েল জেরহার্ড ব্রাউন। যেই নাম এখন পৃথিবীর ৪০ টিরও বেশি দেশের মানুষের মুখে মুখে!

বাবা-মায়ের সাথে পুত্র ড্যান ; ছবি কৃতজ্ঞতাঃ starsinformer.com

ড্যান ব্রাউনের বাবা রিচার্ড জি. ব্রাউন ছিলেন একজন বিখ্যাত গণিত শিক্ষক। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ফিলিপ্‌স এক্সিটার একাডেমিতে মাধ্যমিক গণিত পড়াতেন। দীর্ঘ ২৯ বছরের শিক্ষকতা জীবন শেষে ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ড্যানের মায়ের নাম কন্সটান্স কনি ব্রাউন। ভদ্রমহিলা ছিলেন একজন পেশাদার বাদক। তিনি চার্চে নিয়মিত অর্গান বাজাতেন। ৩ ভাইবোনের ড্যান ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছাত্রজীবন শুরু হয় এক্সিটারের বিভিন্ন পাবলিক স্কুলে অধ্যয়নের মাধ্যমে। নবম গ্রেডের পর ড্যান বাবার ফিলিপ্‌স এক্সিটার একাডেমিতে ভর্তি হন। সেখান থেকেই তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। বিখ্যাত এই লেখকের মাথায় লেখালেখির ভূত তখনও চাপেনি। সেই সময়টায় তিনি একজন গায়ক হতে চেয়েছিলেন। ছোটবেলায় মায়ের কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি নেওয়া ড্যান পড়ালেখাও করেছিলেন সঙ্গীত বিষয়ে। কিন্তু কেন যেন সঙ্গীতটা তাঁর দ্বারা হয়ে উঠছিলো না। গানের  অ্যালবামগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছিল। এরপরই আসে ১৯৯৪ সালের সেই বিকেল। যে সময় তার ভবিষ্যৎ ইচ্ছা গায়ক থেকে লেখকের দিকে ঝুঁকে যায়।

ভাইয়ের সাথে ড্যান ব্রাউন; ছবি কৃতজ্ঞতাঃ24celebs.com, en.24smi.org

বইয়ের সাথে মিতালি

ছোটবেলা থেকেই ড্যান ব্রাউন ছিলেন একজন বইপোকা। বাবা শিক্ষক হওয়ার সুবাদে বইয়ের মধ্যেই তাঁকে বড় হতে হয়েছে। ছেলেবেলার স্মৃতিচারণে মিস্টার ব্রাউন বলেন,

“আমি যখন বেড়ে উঠছিলাম, তখন আমাদের বাসায় টেলিভিশন ছিল না। তাই আমি যা পেতাম, তা-ই পড়তাম। আমার সবচেয়ে পুরোনো স্মৃতি হলো মেডেলিন এল ইঙ্গলসের ‘আ রিঙ্কল ইন টাইম’ বইটিতে বুঁদ হয়ে থাকার। আমার মনে পড়ে, আমি যখন বইটির অর্ধেক শেষ করেছি; মা তখন এসে বললেন, এটা ঘুমানোর সময়। কিন্তু আমি বইয়ের চরিত্রগুলো নিয়ে এতটাই চিন্তিত ছিলাম যে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। পরদিন যখন বইটি শেষ করলাম, তখন আমার চোখে পানি। কারণ, সেটা ছিল একটা সুখের সমাপ্তি। বইটির আবেগ আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছিল, প্রতিটি চরিত্রকে আমি অনুভব করছিলাম। একটা বইয়ের ভেতরে এতটা আবেগ থাকতে পারে! এই ভাবনাটা আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। কাল্পনিক চরিত্রগুলোর প্রতি আমার টান, আবেগ দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। এটা ছিল সেই মুহূর্ত, যখন আমি গল্প বলার জাদু এবং ছাপার অক্ষরের শক্তিকে বুঝতে শিখলাম। আমি প্রকৃতপক্ষে অসংখ্য বইয়ের মধ্যে বড় হয়ে উঠেছি।”

                                 ড্যান ব্রাউনের কলমের জাদুতে রচিত কিছু বই; ছবি কৃতজ্ঞতাঃ indiamart.com 

ছোটবেলা থেকেই গল্প সাজানোর জাদুকরী ক্ষমতা ড্যানের মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। সুপ্ত প্রতিভাটা বিকশিত হওয়ার জন্য একটা প্রেরণার দরকার ছিল। সিডনী শেল্ডনের ‘দ্যা ডুমসডে কন্সপিরেসি’ যেন সেই প্রেরণা হয়েই  আসে ড্যানের জীবনে।

এই তো শুরু
১৯৯৬ সালে পুরোপুরিভাবে লেখালেখির উপর মনোনিবেশ করেন ড্যান ব্রাউন। গিটার ছেড়ে ধরেন কলম। শুরু করেন নিজের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটির আইডিয়া পাওয়ার পিছনে রয়েছে একটি মজার ঘটনা। ১৯৯৫ সালে ফিলিপস এক্সিটার একাডেমিতে ক্লাস নিচ্ছিলেন ড্যান। হঠাৎ করেই ক্যাম্পাসে আগমন ঘটালো সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন। গুরুতর ব্যাপার। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সিক্রেট সার্ভিসের কি কাজ থাকতে পারে! অনুসন্ধান করার পর জানা গেল একাডেমির এক ছাত্র নাকি তার এক বন্ধুকে মেইলের মাধ্যমে বলেছে, দেশের রাজনীতি নিয়ে সে সন্তুষ্ট নয়। নিজের খুশির জন্য প্রয়োজনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনকে সে খুন করতেও প্রস্তুত। সুতরাং সেই মেইলের পরিপ্রেক্ষিতেই সিক্রেট সার্ভিসের আগমন। তারা দেখতে এসেছে ছাত্রটি প্রেসিডেন্টের জন্য হুমকিস্বরুপ কি না! ঘটনাটি চিন্তায় ফেলে দেয় ড্যান ব্রাউনকে। ই-মেইল তো পার্সোনাল বিষয়। এখানে একজন কি লিখছে তা গোয়েন্দা সংস্থা জানবে কিভাবে? তাহলে তারা কি গোপনে মানুষের পার্সোনাল বিষয়েও নজরদারি করছে! ভাবনাটা মাথায় আসতেই রিসার্চ শুরু করে দিলেন ড্যান। রিসার্চ করতে যেয়ে বিস্ময়ে হতবাক হতে হলো তাকে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি নামক একটা গোপনীয় সরকারি সংস্থা আছে যেটা সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষই অবগত নয়! এদের কাজ দেশের প্রত্যেকটি মানুষের উপর নজরদারি করা। জনগণের আদান-প্রদান হওয়া মেসেজের মধ্যে Kill আর Clinton শব্দ দুটি আছে কি না এটা জানতে তারা স্ক্যান করে। এভাবে দেশে কোন সমস্যা শুরু হওয়ার আগেই সেটাকে তারা থামিয়ে দিতে পারে। বিষয়টি একদিক থেকে দেশের জন্য উপকারী হলেও এতে জনগণের প্রাইভেসি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা উচিৎ নয়। এরকম একটি ঘটনা থেকেই ড্যানের মাথায় জন্ম নেয় ‘ডিজিটাল ফরট্রেসের’ আইডিয়া। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৯৮ সালে। পাঠক চাহিদা ছিল মোটামুটি। এতেই লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পেয়ে যান ড্যান ব্রাউন তাঁর ভাষ্যমতে, “আমি খুবই ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, পাঠকেরা বইটি পছন্দ করেছে। যদি তারা না করতো, হয়তো আমি আবার গান লেখার জগতে ফিরে যেতাম।” ড্যানের দ্বিতীয় বইটি ছিল ‘এঞ্জেলস এন্ড ডেমন্স’। এই বইয়েই তিনি প্রথমবারের মত নিয়ে আসেন তাঁর সৃষ্ট সবথেকে জনপ্রিয় চরিত্র হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডনকে। যদিও এই বইটিও পাঠক চাহিদায় ছিল মাঝামাঝি কাতারে। এরপর তিনি হাত দেন সাইন্স ফিকশন ঘরানার উপন্যাস ‘ডিসেপশন পয়েন্টের’ উপর। ২০০১ সালে প্রকাশ পায় এই বইটি। তাঁর লেখা পরবর্তী বই ছিল ‘দ্যা ভিঞ্চি কোড’। যেন রাতারাতি রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস।

ইতিহাস রচনাকারী সেই বই, The Da Vinci Code; ছবি কৃতজ্ঞতাঃ rarebookcellar.com

বইটি জায়গা করে নেয় বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায়। এরপর থেকে তাঁর লেখার ভক্ত সংখ্যা শুধু বাড়তেই থাকে। অপূর্ব সম্মোহনী শক্তির লেখা দিয়ে মানুষের মন জয় করে নেন। একের পর এক বের করতে থাকেন ‘দ্যা লস্ট সিম্বল’ (২০০৯), ‘ইনফার্নো’ (২০১৩), ‘অরিজিন’ (২০১৭)! এখন কাজ চালাচ্ছেন তাঁর পরবর্তী বইয়ের উপর। ড্যানের প্রথম সম্পূর্ণ স্বলিখিত বই ‘ডিজিটাল ফোরট্রেস’ হলেও এর আগে ১৯৯৫ সালেও তিনি একটি রসাত্মক বই লিখেছেন। বইটি তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলে যৌথভাবে লেখা। নাম ‘এইটটি সেভেন মেন টু এভয়েড: আ সার্ভাইভাল গাইড ফর মেন্টালি ফ্রাস্ট্রেটেড ওম্যান’। মজার বিষয় হচ্ছে, বইটিতে তাঁর নাম ড্যান ব্রাউন ছিলো না, ছিলো ড্যানিয়েল ব্রাউন।

৫০ টিরও বেশি ভাষায় অনুদিত অনূদিত হওয়া এই বিখ্যাত মার্কিন লেখকের বই ২০১২ সালের হিসাব মতে বিক্রি হয়েছে প্রায় ২০০ মিলিয়নেরও বেশি। তাঁর লেখা তিনটি বই ‘দ্যা ডা ভিঞ্চি কোড’, ‘ইনফার্নো’ এবং ‘এঞ্জেলস এন্ড ডেমন্স’ এর উপর চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছে। আর সিনেমায় বিখ্যাত চরিত্র রবার্ট ল্যাংডনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কে? অনুমান করুন তো ! জি হ্যাঁ, মুচকি হেসে আপনারাই হয়তো জানিয়ে দেবেন কিংবদন্তি অভিনেতা টম হ্যাংকসের কথা।

ব্যক্তিজীবন

ব্যক্তিগত জীবনে ড্যান ব্রাউন অনেক পরিশ্রমী একজন মানুষ। ভোর ৪ টায় উঠে লেখা শুরু না করলে কেন জানি তাঁর ভাল লাগে না।  এটাই যেন তাঁর কাছে লেখালেখির শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়টায় ১ ঘন্টার মত লেখালেখি শেষ করে এরপর কিছুটা ব্যায়ামে মনোযোগ দেন। তারপর ১০/১১ টা পর্যন্ত একটানা লেখালেখি, গবেষণা করেই দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যায়। বিকেলে প্রকাশক ও আইনজীবীদের সাথে কিছু কথাবার্তা বলে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেন। এভাবেই কাটে তাঁর দৈনন্দিন জীবন। ১৯৯৭ সালে তিনি ব্লিথ নেইলনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুঃখ ভরাকান্ত হৃদয়ে এবার যদি তাঁদের বিচ্ছেদের খবর পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে হয়? অবশ্য ইতোমধ্যে অনেকেই জানেন যে,  ২০১৯ সালে দীর্ঘ ২১ বছরের বিবাহিত জীবন শেষে তাঁদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। বর্তমানে ড্যান ব্রাউন বছরে প্রায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন। টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির মধ্যেও তিনি অন্যতম।

                   ফোর্বসের করা প্রতিবেদনেও উঠে আসেন ড্যান ব্রাউন; ছবি কৃতজ্ঞতাঃ forbes.com

শেষ হয়েও হল না শেষ

ফিকশনপ্রেমীদের জন্য ড্যান ব্রাউন যেন এক স্বপ্নের নাম। ঐতিহাসিক সত্যের সাথে নিজের জাদুকরী কল্পনা শক্তিকে মিশিয়ে এক মনোমুগ্ধকর থ্রিলার তৈরি করেন ড্যান। তাঁর লেখার জাদুতে পাঠকদের হৃদয় পুরোটা সময় ধরে যেন বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকে। প্রাচীনকালের ক্রিপ্টোগ্রাফী, সিম্বল, কোড ব্রেকিং, গোপন সংঘ, ষড়তন্ত্র তত্ত্বের মিশেল- এসবকিছুই পাঠককে নিয়ে যায় এক অন্য দুনিয়ায়।

ড্যান ব্রাউনের বিভিন্ন উক্তি জয় করে নিয়েছে পাঠক হৃদয়; ছবি কৃতজ্ঞতাঃ quotefancy.com

বর্তমানে প্রভাবশালী এই লেখক ব্যস্ত আছেন তাঁর পরবর্তী বই নিয়ে। অবসরের যেন বালাই নেই ! শেষ করছি তাঁরই একটি অসাধারণ উক্তি দিয়ে,

“জীবনে অনেক চাপ থাকবে। কিন্তু একবার যখন তুমি জীবনের গাড়িতে চড়ে বসবে, তখন সব চাপ জানালার ফাঁক গলে হারিয়ে যাবে।”

ফিচার ছবিঃ livemint.com

তথ্যসূত্রঃ

১. https://danbrown.com/#author-section

২. https://www.britannica.com/biography/Dan-Brown

৩. https://www.theguardian.com/books/2018/nov/18/4am-starts-and-spinach-smoothies-da-vinci-codes-dan-brown-on-how-to-write-a-bestseller

৪. https://www.writerswrite.com/journal/dan-brown-5982 

Related Articles

অন্যান্য
Sirajul Islam Mozumder

পিকি ব্লাইন্ডার্সঃ বিংশ শতাব্দীতে বার্মিংহামের রাস্তা দাপিয়ে বেড়ানো এক দস্যুদল

“বাই দি অর্ডার অব পিকি ব্লাইন্ডার্স”। আপনি যদি সিরিজপ্রেমী হয়ে থাকেন, তবে এই বাক্যটির সাথে

বিস্তারিত »
সোশ্যাল মিডিয়া
পাঠক প্রিয়
খেলা
ফেইসবুক পেজ